ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন
নারীর সৌন্দর্যকে অন্যতম মাত্রা দান করে লম্বা সুন্দর ঘন রেশমী চুল তাই থাকা উচিত বাড়তি যত্ন। আমাদের প্রত্যেকেরই মনে আশা থাকে একগোছা লম্বা সুন্দর রেশমী চুলের।
অথচ দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততায় চুলের দিকে ঠিকমতো খেয়াল করাই হয়ে ওঠে না। তাই চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ ও শুষ্ক। আর এই রুক্ষ ও শুষ্ক চুলে চিরুনি চালালেই প্রচুর চুল উটতে থাকে, চুলের ডগা কাটতে থাকে। যার ফলে চুল পড়তে শুরু করে।
বর্তমানে আমরা প্রত্যেকেই চুল পড়া নিয়ে সমস্যায় জর্জরিত। তাই আমরা ত্বকের যেমন যত্ন নিয়ে থাকি। ত্বকের লাবণ্য ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে– আমাদেরকে চমকপ্রদ, উজ্জ্বল ও সুন্দর করে তুলতে।
ঠিক তেমনি চুলের ও যত্ন নিতে হবে- ঝলমলে, স্বাস্থ্যজ্বোল, সুন্দর ও ঘন রেশমী চুলের জন্য!এছাড়া, অতি রাসায়নিকযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার ,অত্যাধুনিক স্টাইলে চুল কাটা, চুলে অতিরিক্ত হিট প্রয়োগ – এ সব আমাদের স্টাইল ও ফ্যাশনে সাহায্য করলেও চুলের ক্ষতি করে।
চুলের পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে বাঁধা সৃষ্টি করে ফলে প্রচুর চুল পড়তে থাকে। তাই আমাদের চুলের যত্ন অবশ্যই নিতে হবে।প্রত্যেকেরই চুলের ধরন আলাদা। তাই চুলের ধরন/ টাইপ অনুযায়ী যত্ন নেওয়ার কৌশল ও আলাদা আলাদা হয়।মাসে একবার হেয়ারপ্যাক বা হেয়ার ওয়েল ব্যবহার করলে হবে না প্রতিদিন চুলের যত্ন নিতে হবে।
আমরা অতি সহজেই ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন নিতে পারি যা স্বল্প ব্যয়ে ও অল্প সময়ে সম্ভব।
যেভাবে ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন নিতে পারি:
প্রথমেই প্রতিদিনের চুলের যত্নের রুটিনটি এভাবে সাজাতে হবে:-সকালে ঘুম থেকে উঠেই চুল আঁচড়াতে হবে। নাহলে চুলের জট থেকেই যাবে। আর এই জটবাঁধা চুল আছড়ালেই চুল কাটতে শুরু করে।বড়ো দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে হবে।
তা নাহলে চুল আঁচড়ানোর সময় টান পড়লে চুল কাটতে থাকে।নিয়মিত চুল ধুয়ে নিতে হবে। যাদের নর্মাল চুল তারা একদিন পর পর চুল ধুয়ে নিতে পারে । যাদের তৈলাক্ত চুল তাদের প্রতিদিন চুল ধুয়ে নিতে হবে।ভেজা চুল আঁচড়ানো যাবে না।
ভেজা চুল নরম থাকে তাই নরম তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে মুছতে হবে।চুল নরম ও মসৃণ থাকে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।অনেকেই চুলে তেল ব্যবহার করে না। শ্যাম্পুর পাশাপাশি চুলে তেল দিতে হবে।
আরও দেখুন গরমে ত্বকের যত্ন নিবেন কিভাবে
শুষ্ক চুলে প্রাণ ফেরাতে, চুলের ঝড়ে পড়া রুখতে ও চুলকে রেশমী ও মসৃণ করতে তেলের বিকল্প নেই।অকারণে হেয়ারড্রায়ার ব্যবহার না করাই ভালো। চুলে বারবার হিট নেওয়া,চুলে হেয়ার কালার করাচুলের স্টাইল বা ফ্যাশনে অধিক কেমিক্যাল না ব্যবহার করাই ভালো।
উষ্ণ তেল দিয়ে মালিশ করতে হবে। উষ্ণ তেল মালিশে যেমন চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি পায় তেমন চুলের গোড়া ও শক্ত হয়। চুলের যত্ন নিতে নারকেল তেল, আমন্ড ওয়েল,অলিভ ওয়েল,ক্যাস্টর ওয়েল যেমন অনবদ্য তেমনি মেথিরপ্যাক, অ্যালভেরা হেয়ারপ্যাক, টকদই হেয়ারপ্যাক এগুলি খুবই কার্যকরী।