পৃথিবীতে কম হ্যাকারই তাদের হ্যাকিং ক্যারিয়ার পরিপূর্ণ উত্তেজনার সাথে কাটাতে পেরেছে। এই কম সংখ্যক হ্যাকারদের মধ্যে সবচাইতে আলোচিত হচ্ছেন কেভিন মিটনিক।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকার হচ্ছে কেভিন মিটনিক
যিনি যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাজা প্রাপ্ত হ্যাকার। এবং সেই সময়কার পুলিশদের নিকট মোস্ট ওয়ান্টেড হ্যাকার। তাকে ফাদার অফ হ্যাকার বলা হয়।
মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি হ্যাকিং নিয়ে কাজ শুরু করে। তিনি প্রাথমিক জীবনে ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ ব্যবহার করে লস এঞ্জেলসের বাসে পাঞ্চ কার্ড হ্যাকিং করেন, যাতে অনায়েসে ফ্রী রাইড করা যেত। এর ফলে তাদের ১৬০০০০ ডলার ক্ষতি হয়েছিলো [সূত্র-১]
১৯৭৯ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তার বন্ধুর মাধ্যমে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের নেটওয়ার্ক আরপানেটের
অ্যাকসেস পেয়ে যায়। সেটা হ্যাক করে তাদের স্পর্শকাতর ফাইল দেখেন কেভিন মিটনিক।
এরপর তিনি মটোরোলা, নকিয়া, ফুজিৎসুর মতো বড় প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার হ্যাক করেছিলেন।[সূত্র-২]
তার হ্যাকিং বিদ্যার জন্য তাকে গ্লেন কেজ উপাধি দেওয়া হয়।
মিটনিক, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যালোলিনার ছাত্র ছিলেন।
আরও জানুন vpn কি সেরা Free vpn কিভাবে-ব্যবহার-করবেন
এফবিআই ১৯৯৫ সালে উপরোক্ত অপরাধ সমূহের জন্য তাকে গ্রেপ্তার করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বহু ওয়েবসাইট হ্যাক করার অভিযোগ উঠেছিলো।
১৯৮৮ সালে ডিইসি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক করায় তিনি ১ বছর জেল খাটেন। এরপরে আর একটি হ্যাকিং এর ঘটনাতে তার এরেস্ট ওয়ারেন্টি ইস্যু হলে সে ২.৫ বছর পালাতক থাকেন। এরপরে ১৯৯৫ সালে তাকে মটোরোলা, নকিয়া ও পাঞ্চ কার্ড হ্যাকিং এর জন্য গ্রেপ্তার করে ৫ বছরের জন্য জেলে পাঠানো হয়।
২০০০ সালে কেভিন এই বলে মুক্তি পান যে, তিনি ২০০৩ সালের আগে তিনি কোনো কম্পিউটার
সেল ফোন এবং ইন্টারনেট ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না।
বর্তমানে তিনি নিজের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি মিটনিক সিকিউরিটি কনসালটিং -এ সিক্যুরিটি কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।
ফিচার ছবি-cybersecurityventures
এরকম আরও ইনফরমেটিব ব্লগ পেতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ ।