দুইজনই ভিজ্যুয়াল আর্ট নিয়ে কাজ করেন এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, কিন্তু সেখানে একজন অ্যানিমেটর আর একজন হলেন মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইনার।
আপনাদের মাথায় হয়তো এই প্রশ্ন আসে,আনিমেশন ও মোশন গ্রাফিক্স এর পার্থক্য কি চলুন জেনে নেয়া যাক, অ্যানিমেশন কী আর মোশন গ্রাফিক্সই বা কী, এদের প্রয়োগ কোন কোন ক্ষেত্রে হয় এবং দু’টোর মৌলিক পার্থক্য।
প্রথম কথা, মোশন গ্রাফিক্স হলো এক ধরনের অ্যানিমেশন। মোশন গ্রাফিক্স বলতে বোঝায় চলন্ত বা অ্যানিমেটেড গ্রাফিক ডিজাইন; যেখানে অ্যানিমেশন এমন একটি টার্ম যার দ্বারা বোঝায় কার্টুন থেকে ক্লেইমেশন পর্যন্ত সব ধরনের গতিশীল ছবি।
মোশন গ্রাফিক্সের ফোকাস মূলত থাকে গ্রাফিক ডিজাইন উপাদানের ওপর গতি আরোপে। অ্যানিমেশনের অন্যান্য প্রকারভেদের মতো জোরালো গল্প বলার প্রবণতা এতে কম দেখি।
মোশন গ্রাফিক্স কী?
মোশন গ্রাফিক্স স্থির গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে কাজ করে এবং তার ওপর অ্যানিমেশন ও মুভমেন্ট আরোপ করে, সাধারণত নির্দিষ্ট কোনো ন্যারেটিভ ছাড়া।
✅ চাচ্ছেন যে আপনার গ্রাফের বারগুলো নিজে থেকে একটু উঁচু হোক? এটা মোশন গ্রাফিক্স।
✅ চাচ্ছেন ওয়েবসাইটের লোগোটা চারদিকে স্পিন করুক? এটাও মোশন গ্রাফিক্স।
❌ চরিত্রগুলোকে নড়াচড়া করিয়ে বাচ্চাদের রূপকথার গল্পে প্রাণ আনতে চাচ্ছেন? এটা কিন্তু মোশন গ্রাফিক্স নয়। এটা একেবারে আলাদা ধরনের অ্যানিমেশন।
🧚 ‘গল্প’ বলা হচ্ছে কি হচ্ছে না তা একটা বিশাল নির্ণায়ক যার দ্বারা বলা যায় আপনি মোশন গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ করছেন নাকি অ্যানিমেশন নিয়ে। মোশন গ্রাফিক্স অ্যানিমেশনে সাধারণত থাকে আকৃতি, বস্তু অথবা লেখার অক্ষর যাদেরকে গতি দেয়া হয়।
অ্যানিমেশন কী?
অ্যানিমেশন হলো সেই বিস্তৃত টার্ম যার মধ্যে মোশন গ্রাফিক্সও পড়ে। অ্যানিমেশনের শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাস আছে। স্থির বস্তু বা ছবিকে চলমান করার যেকোন কৌশলই অ্যানিমেশন — হোক তা হাঁতে কার্টুন, সিজিআই, অ্যানিমে, ক্লেইমেশন অথবা পূর্বালোচিত মোশন গ্রাফিক্স। যদিও এই ক্যাটাগরিগুলো নিজেদের মধ্যে স্বতন্ত্র না। কেননা বেশিরভাগ মোশন গ্রাফিক্সে সিজিআই ব্যবহার করা হয়, আবার তত্ত্বীয়ভাবে আপনি হাত এঁকেও মোশন গ্রাফিক্স বানাতে পারেন।
মোশন গ্রাফিক্সের সাথে অন্য প্রকার অ্যানিমেশনের পার্থক্য যেখানে গিয়ে দাঁড়ায় (অন্তত মার্কেটিং ভিডিওর ক্ষেত্রে) তা হলো কন্টেন্ট। সাধারণত মোশন গ্রাফিক্সের সাথে চলমান বস্তু, লেখা ও অন্যান্য গ্রাফিক ডিজাইন উপাদানের সম্পর্ক। একটা গ্রাফ, ইনফোগ্রাফিক অথবা ওয়েব ডিজাইনকে গতি দিয়ে জীবন্ত করা ব্যাপকার্থে “অ্যানিমেশন” বটে, কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে বললে এই ধরনের অ্যানিমেশনের নামই মোশন গ্রাফিক্স।
এর বিপরীতে, নির্দিষ্ট শিল্পমাধ্যম হিসেবে অ্যানিমেশন কোনো একটা কাহিনী দাঁড় করানোর উদ্দ্যেশ্যে সিনেমাটিক প্রভাব ও গল্প-বলার কৌশলের ওপর বেশি ফোকাস করে।
এভাবে ভাবতে পারেন: আপনার ভিডিও যদি কোনো একটা বিষয় বোঝাতে গ্রাফিককে (আকৃতি, লেখা, বস্তু) চলমান করে তাহলে সেটা মোশন গ্রাফিক্স। আর যদি তাতে একটা মানবীয় চরিত্র তাকে যার একটা আবেগময় যাত্রা আছে, তাকে বলবেন “অ্যানিমেশন”।
উপসংহার
অনেক এই চিন্তায় থাকেন আমি কি নিয়ে কাজ করব বা আমি ফ্রিলান্সিং শিখতে চাই কি করতে পারি তখন অপর পাশের বেক্তিটি বলে উঠেন। এটা শিখো ওঠা শিখো কাজে লাগবে সামনে তবে আমরা আপনাকে বলবো যে আপনি যে বিষয়ে নিজেকে নিয়ে যেতে চান বা আপনার যে কাজটি করতে ভাল লাগে আপনি সেই কাজটী করেন অন্য কারো কথায় যেকোনো কিছু শিখতে যাবেন না তাদের কাজ থেকে ধারনা নিতে পারেন ভাল লাগলে সেই কাজটী শিখলেন শেখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে । তবেই আপনি সফল হবেন নয়তো কয়েকদিন পর এসব বাদ দিয়ে বলবেন ধুর এসব আমার ধারা হবে না ।
এই আর্টিকেল টি ভাল লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না অন্য কে জানাতে সাহায্য করুন ধন্যবাদ।